চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া কলেজছাত্র মো. ফারহানের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সাঙ্গু নদীর সাতকানিয়া উপজেলার মক্তেয়ারকুম এলাকা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. জুলহাজ উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল আড়াই ঘণ্টার মতো নিখোঁজ ফারহানকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছি। রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাপিতের টেক এলাকায় সাঙ্গু নদীর অংশে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেন। পরে মরদেহটি উদ্ধার করি।
‘মরদেহটি ফারহানের বলে শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। আমরা মরদেহটি ঢেমশা পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করেছি।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ফারহান বৃহস্পতিবার নাপিতের টেক এলাকার পাশেই নিখোঁজ হয়। দুপুর ১২টার দিকে ফারহানের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।’
১৭ বছরের ফারহান চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সে নগরীর হাজেরা তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সাঙ্গু নদীর সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মোড়খোলা এলাকায় তুহিন নামের এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে নেমে নিখোঁজ হয় ফারহান। ওই দিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. জুলহাজ উদ্দীন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে সাতকানিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসে ফারহান। বৃহস্পতিবার ভাটার সময় চার বন্ধু নদীতে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে তিন বন্ধু উঠে গেলেও, পেছনে থাকা ফারহান নদীতে ডুবে যেতে থাকে। এ সময় ফারহানের কাছে থাকা এক বন্ধু তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। শহর থেকে আমাদের ডুবুরিদলও আসে। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি। রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখি।’